সুইচ বোর্ড লাগানোর নিয়ম চিত্রসহ ব্যাখ্যা

সুইচ বোর্ড লাগানোর নিয়ম  চিত্রসহ ব্যাখ্যা
কারেন্টের বোর্ড কিভাবে সেটিং করে

সুইচ বোর্ড লাগানোর নিয়ম  চিত্রসহ ব্যাখ্যা

সুইচ বোর্ড সংযোগ কাজটিকে কয়েকটি ধাপে বিভক্ত করা যেতে পারে। যাদের প্রত্যেকের নিজস্ব নিয়ম এবং বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা মেনে চলার মাধ্যমে, আপনি বৈদ্যুতিক সুইচ বোর্ড লাগানোর নিয়ম জানতে পারেন যা উচ্চ সুরক্ষা প্রদান করে।

  • ধাপ ১. মূল্যায়ন এবং ভোক্তা গোষ্ঠী গঠন।
  • ধাপ ২. বৈদ্যুতিক সুইচ বোর্ড লাগানোর স্থান নির্বাচন।
  • ধাপ ৩. বৈদ্যুতিক সুইচবোর্ড নির্বাচন করা।
  •  ধাপ ৩. বৈদ্যুতিক সুইচবোর্ড এবং এর সংযোগ স্থাপন

ধাপ ১. মূল্যায়ন এবং ভোক্তা গোষ্ঠী গঠন।

এই ধাপে, সর্বোচ্চ শক্তি (2 কিলোওয়াট বা তার বেশি) সহ ভোক্তাদের বরাদ্দ করা প্রয়োজন। এর মধ্যে রয়েছে বৈদ্যুতিক ওভেন, চুলা, ওয়াটার হিটার, ওয়াশিং মেশিন ইত্যাদি। এই ধরনের ভোক্তাদের একটি পৃথক গ্রুপে সংযুক্ত করতে হবে।

ধাপ ২. বৈদ্যুতিক সুইচ বোর্ড লাগানোর স্থান নির্বাচন।

এই ধাপটি গরুত্বপূর্ণ।  সুইচ বোর্ড লাগানোর পূর্বে কোথায় এবং কতটুকু উচ্চতায়  বৈদ্যুতিক সুইচ বোর্ড লাগাতে হবে তা প্রথমে নির্বাচন করতে হবে। 

মনে রাখতে হবে বৈদ্যুতিক সুইচ বোর্ড মেঝের স্তর থেকে 1.3 মিটার উচ্চতায় সুইচ ইনস্টল করা হবে ৷ সকেট-আউটলেটগুলি ইচ্ছামত মেঝে থেকে 0.25 বা 1.3 মিটার উপরে লাগাতে হবে। সিলিং ফ্যানের নীচের বিন্দু এবং মেঝের মধ্যে ক্লিয়ারেন্স 2.4 মিটারের কম যেন না হয়।

 ধাপ ৩. বৈদ্যুতিক সুইচবোর্ড নির্বাচন করা।

কারেন্টের বোর্ড সেটিং করার জায়গা চিহ্নিত হয়ে গেলে পরবর্তী কাজ হল বৈদ্যুতিক সুইচবোর্ড নির্বাচন করা। এটি সতর্কতার সাথে করতে হবে। প্রতি রুমে কতটি করে লোড চলবে, তার উপর বৃত্তি করে সুইচবোর্ড বেছে নিতে হবে। যেমনঃ ‍ আপনি যদি ১টি ফ্যান এবং ২ টি বাতির জন্য একটি বৈদ্যুতিক সুইচবোর্ড নির্বাচন করেন, তবে আপনাকে ৫ কাটা একটি বৈদ্যুতিক সুইচবোর্ড নির্বাচন করতে হবে।

একটি পাখা, ২টি বাতি, ১টি ফিউস, এবং ১টি ইন্টিকেটরের জন্য। 

 ধাপ ৩. বৈদ্যুতিক সুইচবোর্ড এবং এর সংযোগ স্থাপন

জায়গা এবং বৈদ্যুতিক সুইচবোর্ড নির্বাচন হয়ে গেলে সকল মালামাল একত্র করে নিচের সুইচ বোর্ড লাগানোর নিয়ম টি অনুসরণ করতে পারেন। চলুন এবার সুইচ বোর্ড লাগানোর নিয়ম  চিত্রসহ দেখি। এখানে আমরা ২ পয়েন্টের একটি ‍ সুইচ বোর্ড লাগানোর নিয়ম দেখাচ্ছি।

১। প্রথমে বোর্ডের সাথে সুইচগুলো ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। ছবির মতো করে। 



২।  এবার নিচের ছবিটি লক্ষ্য করুন। প্রতিটি পাখা, বাতি, ফিউস, এবং ইন্টিকেটরের নিচের টার্মিনালের সাথে একত্রে একটি তার দিয়ে সংযোক্ত করুন। মনে রাখবেন, এতক্ষণ পর্যন্ত আমরা ফেজ কানেকশন করেছি।


৩। এবার নিউট্রাল কানেকশন করতে হবে। নিউট্রাল কানেকশন করার জন্য  যতগুলো নিউট্রাল পয়েন্ট রয়েছে। তা একত্র করে একটি পয়েন্ট করতে হবে। যা ছবিতে দেখানো হয়েছে। 


৪। তারপর নিউট্রালের একটি পয়েন্ট এবং ফেজ তারের একটি পয়েন্ট নিচের ছবির মতো সংযোক্ত করতে হবে। এবং বাতি বা পাখা থেকে নিয়ে আসা লাইন বাতি ১ এবং বাতি ২ -তে সংযোগ করতে হবে। পয়েন্টের সংখ্যা বাড়াতে হলে বাম দিক হতে বাড়ানো যাবে। 


সম্পর্ণ কানেকশনটি ভিডিও আকারে দেখুন। 


বিঃদ্রঃ সম্পর্ণ কানেকশনটি না বুঝে থাকলে ভিডিওটি দেখুন। ‍ ‍আর এ বিষয়ে আপনি বিগিনার হয়ে থাকলে কখনোই এটি বাসায় চর্চা করবেন না। আজ এই পর্যন্তই । ধন্যবাদ

Post a Comment

Previous Post Next Post