Advertisement

পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি ভাবসম্প্রসারণ - সহজ ভাষায়।

  ভাবসম্প্রসারণ - পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি

ভাবসম্প্রসারণ - পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি

মূলভাবঃ সমাজ ও জাতির অগ্রগতির জন্যে শ্রম এক অপরিহার্য উপাদান। কোনোকিছু অর্জন করতে হলে নিরলস পরিশ্রম ও একনিষ্ঠ সাধনার বিকল্প নেই। পরিশ্রমের মাধ্যমেই মানুষ রচনা করেছে মানবসভ্যতার বুনিয়াদ এবং করেছে বিরূপ ভাগ্যের পরিবর্তন। পরিশ্রম মানবসমাজের সৌভাগ্য ও উন্নতির শ্রেষ্ঠ উপায় । পৃথিবীর সব কাজই পরিশ্রম সাপেক্ষ। যথােপযুক্ত শ্রমের দ্বারাই মানবজীবনের সৌভাগ্যের সূচনা হয়। কাজেই ব্যক্তি ও জাতীয় জীবনের সর্বত্র পরিশ্রমই উন্নতির মূল চাবিকাঠি।

ভাবসম্প্রসারণ -

পরিশ্রম ছাড়া ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটে না। যারা শুধু ভাগ্যের ওপর নির্ভরশীল তারা অলস এবং শ্রমবিমুখ হয়। "ভাগ্যে থাকলে পাব'— এমন আশার ওপর নির্ভর করে বসে থাকলে জীবনে কেউ কোনোদিন উন্নতি করতে পারবে না। আসলে সৌভাগ্য নিয়ে কেউ জন্মগ্রহণ করে না। পৃথিবীতে সবাই শূন্য হাতে আসে। পৃথিবীতে আসার পর কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে বিরূপ ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে হয়। সততার সাথে যথার্থ পথে পরিশ্রম করলে সৌভাগ্য নিজেই এসে ধরা দেয়। পৃথিবীতে যারা সফল হয়েছেন, তারা সবাই  ছিলেন অনলস পরিশ্রমী। কৃষক ভাগ্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে বসে থেকে ফসল ফলায় না। তাকে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে পরিশ্রমের মাধ্যমে ফসল উৎপন্ন করতে হয়। আধুনিক বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, তারা নিরলস পরিশ্রম করেই উন্নতির শীর্ষে আরোহণ করেছে। একমাত্র শ্রমশক্তিই তাদের কাঙ্ক্ষিত সাফল্যে স্বর্ণদ্বারে পৌঁছে দিয়েছে। অন্যদিকে শ্রমবিমুখ, অলস জাতি অভিশপ্ত জীবনের বোঝা বয়ে বেড়াচ্ছে। মনে রাখতে হবে, পরিশ্রম ছাড়া দুনিয়াতে ভালো কিছু অর্জিত হয় না। তাই বলা হয়েছে, পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি।

মন্তব্যঃ  জীবনে সফলতা অর্জনের জন্যে পরিশ্রম অপরিহার্য। যে জাতি যত বেশি নিষ্ঠার সাথে পরিশ্রম করে, সে জাতি তত বেশি উন্নত জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। তাই ভাগ্য পরিবর্তনের জন্যে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করা উচিত।

পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি ভাবসম্প্রসারণের ভিন্ন প্রতিলিপন


মূলভাবঃ শ্রম ব্যতীত কোনাে জাতি উন্নতি লাভ করতে পারে না। শ্রম কল্যাণ বয়ে আনে। 

ভাবসম্প্রসারণ -

সৃষ্টিকর্তা মানুষকে বুদ্ধিমত্তা ও শক্তি প্রদান করেছেন পরিশ্রম করার জন্য। বিনা পরিশ্রমে কোনাে কিছু অর্জন করা যায় না। কথায় বলে, ‘পরিশ্রমে ধন আনে, পুণ্যে আনে সুখ। পরিশ্রম ছাড়া মানুষ সৌভাগ্যের স্বর্ণ শিখরে আরােহণ করতে পারে না। পরিশ্রমী ব্যক্তি স্বাবলম্বী ও আত্মনির্ভরশীল হয়। বিদ্যা, মান, যশ, প্রতিপত্তি ইত্যাদি সব কিছুর মূলে রয়েছে পরিশ্রমী ব্যক্তির নিরলস সাধনা। সব ধন-সম্পদ বা ঐশ্বর্যের মূলে রয়েছে পরিশ্রম। শ্রম দ্বারা ভাগ্যের চাকা এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব যা শ্রমবিমুখ মানুষের কাছে অলৌকিক মনে হবে। পৃথিবীতে যে জাতি যত বেশি পরিশ্রমী, সে জাতি তত বেশি উন্নত। ডা. লুৎফর রহমান বলেন, “যে জাতির মানুষ শ্রমশীল, যারা জ্ঞান সাধনায় আনন্দ অনুভব করে, তারা জগতে শ্রেষ্ঠ স্থান অধিকার করে। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মনীষীগণ তাদের নিরলস সাধনা ও শ্রম দ্বারা খ্যাতির শ্রেষ্ঠ আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। প্রাণিজগতের ক্ষুদ্র কীট মৌমাছিও তার নিরলস শ্রম ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে মধুপূর্ণ মৌচাক তৈরি করতে সমর্থ হয়। যে কৃষক রােদ-বৃষ্টি সহ্য করে কঠোর পরিশ্রম করতে পারে, সে-ই কেবল সােনার ফসল ফলাতে পারে। পক্ষান্তরে, যে ব্যক্তি শ্রমৃবিমুখ হয়ে দুটি হাত গুটিয়ে বসে থাকে সে তার ভাগ্যকেও নিষ্ক্রিয় করে রাখে। ব্যক্তি কিংবা জাতীয় জীবনে সে কোনাে অবদান রাখতে পারে না। তাই জীবনে উৎকর্ষ ঘটাতে পরিশ্রমের বিকল্প নেই।

মন্তব্যঃ মানুষের যাবতীয় সৌভাগ্যের মূলে রয়েছে তার পরিশ্রম। পরিশ্রমী ব্যক্তি যথার্থই ভাগ্যবান। তাই বলা হয়, পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url