শীতের সকাল অনুচ্ছেদ - For Class 7,8,9, SSC & HSC

একটি শীতের সকাল অনুচ্ছেদ রচনা

শীতের সকাল যেন সন্ন্যাসীর মতো কুয়াশার চাদর গায়ে দিয়ে নীরবে চলে আসে। শহরের আবাসিক এলাকায় বড় বড় দালানকোঠার কারণে তেমন বোঝা না গেলেও গ্রামীণ পরিবেশে শীত-সকাদের অনুভূতিটাই আলাদা। এবারের শীতে আমি গ্রামের বাড়িতে ছিলাম। শীতের সকালের রোদমাখা প্রকৃতির রূপ সকলেরই প্রিয়। ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় চারদিক। কুয়াশা ভেদ করে সূর্যের আলো আর উত্তাপ আসতে একটু সময় লাগে। সূর্যের হলুদবরণ কিরণ ছড়িয়ে পড়লে এক অপরূপ দৃশ্যের সূচনা হয়। সকালের সৌন্দর্য মনকে নাড়া দিয়ে যায়। সকালে মামা আমাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলতেই দেখি, শিশু-কিশোর, ছেলে-বুড়ো অনেকেই গরম কাপড় গায়ে দিয়ে আঙিনায় জড়ো হয়েছে। নাড়ার আগুন জ্বালিয়ে চারপাশে গোল হয়ে বসেছে। আগুনের তাপে শীত নিবারণ করছে তারা। আমিও যোগ দিলাম তাদের সাথে। আমার চোখে পড়ে পাশেই ঘাসের ওপর চিকচিক করছে শিশির বিন্দু। মুক্তো দানার মতো। মাঠের দিকে যাচ্ছে ফসল কাটার জন্যে, আর ঠক ঠক করে কাঁপছে। তাদের কাঁপুনি দেখে আগুনের কাছে বসেও আমার মধ্যে জেগে ওঠে শীতের অনুভূতি। গাছের পাতায় পাতায় শিশির এবং নবোদিত সূর্যের আলোর খেলা। গাছের পাতা থেকে টপ টপ করে শিশির ফোটা ঝরছিল টিনের চালে। এদিকে ছোট কাকা নিয়ে এলেন খেজুরের রস আর ওদিকে পিঠা তৈরি করে ডাকছেন দাদি। শীতের সকালে দুটোই অতুলনীয় খাদ্য। এক গ্লাস খেজুর রস খেয়ে ছুটে গিয়ে দাদির পিঠার কাছে বসলাম। সকালের ঠাণ্ডায় চুলার কাছে বসে গরম গরম পিঠা খাওয়ার আনন্দই আলাদা। শীত-সকালের এমন সুখকর অনুভূতি আমি এর আগে আর কখনো পাইনি। আবহমান বাংলার সংস্কৃতির ঐতিহ্যে লালিত এই গ্রামীণ জীবনের শীতের একটি সকাল উপভোগ করে আমি ধন্য।

 

শীতের সকাল অনুচ্ছেদ - For Class 6, 7, 8

প্রকৃতির অবারিত সৌন্দর্যভেলায় মজা উপকরণের কোনো কমতি নেই। বাড়ি থেকে দু পা ফেলে বাইরে দৃষ্টি মেললেই আখিতে পড়ে নিসর্গের অমৃত লহরী। তার ভিতরে শীতের সকাল বেলা অন্যতম। বাংলাদেশের ঋতুচক্রে ঠাণ্ডা আসে রূপ এবং রসের ডালি সাজিয়ে। শীতের মোহনীয় নৈসর্গিক রূপ ধরা পড়ে শিশির স্নাত সকাল বেলায়। কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকে চারপাশ। সূর্যিমামা মুখ লুকায় লজ্জায়, অভিমানে। ধীরে সন্তপর্ণে মুখ বাড়িয়ে হাসে সোনালি সূর্য। ঘাসের শিখরে পড়ে থাকা শিশির বিন্দুতে রোদের শিখা পড়ে মুক্তোর মতো চকচক করে। শীতের সকালে গ্রামে চালু হয়ে যায় পিঠা উৎসব। শীতল ঠান্ডায় ভাপা, দুধপুলি, দুধচিতই, পাটিসাপটা প্রভৃতি পিঠা রসনায় আনে তৃপ্তির আস্বাদ। চাদর মুড়ি দিয়ে রোদে বসে পিঠা খাওয়ার সে কী তৃপ্তি! অন্যদিকে গৃহহীন, বস্ত্রহীন মানব খোঁজে একটু আশ্রয়, প্রশান্তির উষ্ণ চাদর। নির্ধন ছেলেমেয়েরা অস্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে রোদের আদরের ভরসায়। রাত্রি জেগে সকালের প্রত্যাশায়, সকাল বেলা জাগে সূর্যের স্পর্শ কামনায়। কিন্তু সবকিছু মিলিয়ে শীতের সকাল একটি প্রিয় মুহূর্ত, সুন্দর নৈসর্গিক উপাদানে ভাস্মর।

অনুচ্ছেদ শীতের সকাল For Class 9, 10 & SSC 

ঋতুবৈচিত্র্যের দেশ বাংলাদেশের ছয় ঋতুর মধ্যে হেমন্তের পর আর বসন্তের আগে শীতের অবস্থান। বৃক্ষের ঝরা পল্লবে নূপুর বাজিয়ে তার আগমন এবং বসন্তের নিউ পল্লব জাগিয়ে তার অন্তর্ধান। সেই সময় শীতের সকাল সম্পূর্ণভাবে প্রকৃতির এক ভিন্ন রূপ গ্রহণ করে, গাম্ভীর্যময় এক মহিমা নিয়ে। শীতের সকাল বেলা কুয়াশার গালিচা আর কর্দম ধূলিহীন পরিবেশকে বন্ধু করে অপূর্ব হয়ে ওঠে। যখন এ কুয়াশার গালিচা ভেদ করে চতুর্দিকে রূপালি শিখা ছড়িয়ে পড়ে সেই সময় বাড়িঘর, গাছপালা, মাঠ কানন, প্রান্তর প্রকৃতিপুঞ্জ ঝলমল করে ওঠে। অন্যান্য ঋতুর বেলায় যে উদ্দামতা শীতের সকালে তা অনুপস্থিত। কিন্তু নানা ধরনের পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে শীতের সকালে। এ খুশি চারদিকে উৎসবের সমারোহ সৃষ্টি করলেও শীতের প্রভাতে মানুষ লেপ-কাঁথার নিচেই কাটাতে ভালোবাসে। শীতের সকাল বেলা আলস্য আর উৎসবের আমেজে উপভোগ্য হলেও গরীবের জন্য তা কষ্টের। সূর্যকিরণের তীব্রতা বাড়লে মুছে হয় শীতের সকালের আমেজ। তবু শীতের সকাল বেলা প্রকৃতিকে নিরাভরণ করে এক পবিত্র সৌন্দর্যের তৈরি করে যা ছড়িয়ে থাকে সারাবেলা। 

অনুচ্ছেদ শীতের সকাল For HSC Students

শীতের সকালের ব্যক্তিগত ব্যতিক্রমধর্মী প্রাকৃতিক আবহের একসাথে মানবজীবনে এর ইফেক্ট রয়েছে। শীতের সকাল বেলা কুয়াশাচ্ছন্ন এবং ঠাণ্ডা। সর্বত্রই প্রবল কুয়াশা। কখনো কুয়াশা এত প্রবল যে সূর্যরশ্মি এর ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না। সবকিছু অস্পষ্ট দেখায়। গ্রামাঞ্চলে শীতের সকালের দৃশ্যাবলি সত্যিই মনোমুগ্ধকর। ঘাস এবং পল্লবের ওপরে শিশিরবিন্দু সূর্যরশ্মিতে মুক্তোর মতো ঝলমল করে। প্রধারনত মানুষজন সকালবেলা বিলম্ব করে নিদ্রা হতে ওঠে। তারা শীতে কাঁপতে থাকে। তারা উষ্ণতা বস্ত্র পরিধান করে। বয়স্ক মানুষ  বাচ্চাদেরকে ভোরে সূর্যের আলো পোহাতে দেখা যায়। লোকজন সকালের নাস্তায় প্রধারনত খেজুরের রস  নানারকম ধরনের পিঠা খেয়ে থাকে। গবাদি জন্তু তাদের গোয়ালেই থাকে। যাহোক, শহরগুলোতে ভীষণ শীত না পড়ায় শীতের সকাল জীবনে তেমন পরিবর্তন আনে না। মানুষজন স্বাভাবিক সময়ে নিদ্রা হতে ওঠে রঙিন উষ্ণ কাপড় পরিধান করে তাদের কর্মস্থলে যায়। শিক্ষার্থীদেরকে সবচেয়ে বর্ণিল পোশাকগুলোতে দেখা যায়। প্রকৃতি এখানেও নিষ্প্রাণ  বিষণ্ণ। গ্রাম এবং নগর উভয় অঞ্চলেই গরিব লোকেরা সবচেয়ে অধিক ভুক্তভোগী হয়। প্রখর থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য তাদের নিকট অনেক উষ্ণতা পোশাক নেই। পথশিশুরা শুকনো তৃণ  কাগজ অগ্নিতে পুড়িয়ে নিজেদের উষ্ণ রাখার আয়োজন করে। যোগাযোগ আয়োজন ভেঙে পড়ে যা জনগণের ব্যাপক দুর্ভোগ ঘটায়। যাহোক, শীতের সকালের দৃশ্যাবলি খুবই ক্ষণস্থায়ী। দিন আরম্ভ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি অগোচর হতে থাকে। শীতের সকাল বেলা নিয়ে আমার ব্যক্তিগত মতামত হলো, এটি গরিবের জন্য অভিশাপ তা সত্ত্বেও ধনীর জন্য আশীর্বাদ।


আরও একটি শীতের সকাল - অনুচ্ছেদ

ঋতুবৈচিত্র্যের দেশ বাংলাদেশের ছয় ঋতুর ভিতরে হেমন্তের পর আর বসন্তের আগে শীতের অবস্থান। বৃক্ষের ঝরা পাতায় নুপুর বাজিয়ে তার আগমন ও বসন্তের নতুন পল্লব জাগিয়ে তার অন্তর্ধান। সেই সময় প্রকৃতির এক ভিন্ন রূপ, যা সম্পূর্ণভাবে গ্রহণ করে শীতের সকাল, গাম্ভীর্যময় এক নিয়ে। শীতের সকাল বেলা কুয়াশার গালিচা আর কর্দম ধূলিহীন পরিবেশকে বন্ধু করে হয়ে থাকে মনােরম। যখন এ কুয়াশার গালিচা ভেদ করে চতুর্দিকে রূপালি আলাে ছড়িয়ে পড়ে সেই সময় বাড়িঘর, গাছপালা, মাঠকানন, প্রান্তর প্রকৃতিপুঞ্জ ঝলমল করে ওঠে। আদার্স ঋতুর বেলায় যে উদ্দামতা শীতের প্রভাতে তা অনুপস্থিত। কিন্তু নানা ধরনের পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে শীতের দিনে, বিশেষত শীতের সকালে। সকালবেলার রােদে পিঠা খাওয়ার যে মজা তা সব আনন্দকেই ছাড়িয়ে যায়। এ খুশি চারপাশ মুখর হলেও শীতের সকালবেলাগুলাে মানুষ লেপ কাঁথার নিচেই কাটাতে ভালােবাসে। শীতের সকাল বেলা আলস্য আর উৎসবের আমেজে উপভােগ্য হলেও গরিবদের জন্য তা ঠিকই কষ্টের। সূর্যকিরণের তীব্রতা বাড়লে মুছে হয় শীতের সকালের আমেজ। তবু শীতের সকাল বেলা প্রকৃতিকে নিরাবরণ করে এক পবিত্র সৌন্দর্যের তৈরি করে যা ছড়িয়ে থাকে সারাবেলা।

 

শেষ লাইন
যে শিক্ষার্থীরা এই বছর এসএসসি, জেএসসি, বা ক্লাস ৮ পরীক্ষা দেবে তারা এই অনুচ্ছেদের লক্ষ্য দর্শক। পরীক্ষায় একটি উচ্চ গ্রেড অর্জন করতে, আপনাকে অনুচ্ছেদ রচনা ভালোভাবে লিখতে হবে। আপনি যদি এই লেখাটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তবে আপনি একটি সফল ফলাফল আশা করতে পারেন। লেখাটি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করুন আপনার ভাই বা বোনদেরকে, যেন তাড়াও অনুচ্ছেদ  সম্পর্কে একটি ভালো ধারনা পেতে পারে। নতুন আপডেটের জন্য আমাদের নিউজলেটারে আপনার ইমেল রাখতে পারেন।
 

আরও পড়ুনঃ

Post a Comment

Previous Post Next Post