বিজয় দিবস অনুচ্ছেদ Class 8,9 and SSC
বিজয় দিবস অনুচ্ছেদ
১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস। এটি আমাদের জাতীয় জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। দিনটি আমাদের জাতীয় জীবনে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। বাংলাদেশের বিজয় দিবসের বিপুল ত্যাগ ও সংগ্রামের দীর্ঘ ইতিহাস। সে ইতিহাসের এক গৌরবময় মাইলফলক মহান ভাষা আন্দোলন। এই আন্দোলনের রক্তাক্ত ইতিহাসের মধ্য দিয়ে বাঙালির ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষ ঘটে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আসে ১৯৬৬ সালের ঐতিহাসিক ছয় দফা আন্দোলন। এর ১১ দফা আন্দোলন যুক্ত হলে গণজাগরণের সূত্রপাত ঘটে। ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানে পাকিস্তানের স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের পতন ঘটে। জেনারেল ইয়াহিয়া খান ক্ষমতায় এসে ১৯৭০ সালে সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা দেন। আওয়ামী লীগ নিরষ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের পরও ক্ষমতা হস্তান্তর না করে গোলটেবিল বৈঠকের নামে ষড়যন্ত্র শুরু হয়। গোপনে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে অস্ত এবং গোলাবারুদ আনা হয় বাঙালিদের হত্যা করার জন্যে। এ অবস্থায় ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক ঐতিহাসিক জনসভায় তাঁর ভাষণে বলেন, 'এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। ২৫শে মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর আক্রমণ চালায়। ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন, শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। হানাদার বাহিনী বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ চালায়, অগ্নিসংযোগ করে জ্বালিয়ে নেয় দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর অর্জিত হয় মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় বিজয়। এই দিনে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর ৯৩ হাজার সৈন্য আত্মসমর্পণ করে আমাদের বীর মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর কাছে। 'বিজয় দিবস' আমাদের আত্মমর্যাদা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। তাই বিজয় দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম।
আরও পড়ুনঃ