অনুচ্ছেদ ছাত্রজীবন - সকল শ্রেণির জন্য। ২০২৩
অনুচ্ছেদ ছাত্রজীবন
জীবন গড়ে তোলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় হলো ছাত্রজীবন। সাধারণত বিভিন্ন বিদ্যালয়ে পাঠরত জীবনকে ছাত্রজীবন বলে। এ সময়ে বিদ্যাশিক্ষার মাধ্যমে দেশের উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হয়। তারাই জাতির ভবিষ্যৎ এবং অধ্যয়নই তাদের তপস্যা। ছাত্রজীবন যত উন্নত হবে ভবিষ্যৎ জীবনের ভিতও হবে ততই মজবুত। এসময় থেকেই নিয়মানুবর্তিতা, আদব-কায়দা, নিয়মশৃঙ্খলা, গুরুজনের প্রতি শ্রদ্ধাভক্তি, পরিশ্রম ইত্যাদির অভ্যাস গড়ে ওঠে। সততা ও নৈতিকতার অনুশীলন এবং আদর্শ চরিত্রের গুণাবলি ছাত্রজীবনেই অর্জিত হয়। ছাত্রসমাজ চিরকালই নবশক্তির উদ্বোধক হিসেবে কাজ করে যায়। তাদের চোখে থাকে জ্ঞানের আলো, বুকে থাকে স্বপ্নময় ভবিষ্যতের অগ্নিমন্ত্র। অর্জিত জ্ঞানের আলো নিয়ে তারা দেশ ও সমাজের দিকে তাকায়। ছাত্রজীবনেই তাদের মধ্যে দেশপ্রেম জেগে ওঠে। তাদের দেশগঠনমূলক ভূমিকা ঐতিহাসিক তাৎপর্যমণ্ডিত। ছাত্রসমাজই রচনা করেছে এক পৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে এদেশের ছাত্রসমাজের রয়েছে অবিস্মরণীয় অবদান। ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রসমাজই মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। এরকম দেশগঠন ও কল্যাণমূলক দায়িত্ব পালনের মানসিকতা ছাত্রজীবনেই গড়ে ওঠে। ছাত্রজীবনের দায়িত্ব হিসেবে দুটি দিক নির্দেশ করা যায়। একটি নিজের জীবনকে যোগ্য করে গড়ে তোলা, অপরটি জাতির জন্যে নিজেকে প্রস্তুত করা। আত্মস্বার্থে নিমগ্ন মানুষ যথার্থ মানুষ নয়- পরের কল্যাণে উৎসগীত জীবনই সার্থক জীবন। তাই ছাত্রজীবনেই দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। নিজেকে যথার্থরূপে গড়ে তোলার দায়িত্ব পালন করতে পারলেই ভবিষ্যতে দেশ ও জাতির কল্যাণের মধ্য দিয়ে ছাত্রজীবনের সার্থকতা প্রমাণিত হয়।
আরও পড়ুনঃ