সোনালী ব্যাংক লোন 2024 | ডকুমেন্ট, যোগ্যতা ও নেওয়ার নিয়ম

সোনালী ব্যাংক লোন ২০২৩ | ডকুমেন্ট, যোগ্যতা ও নেওয়ার নিয়ম
সোনালী ব্যাংক লোন ২০২৪

সোনালী ব্যাংক লোনঃ নতুন বছরের শুরু থেকে আপনি আপনার যেকোন প্রয়োজনে সোনালী ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ 20 লক্ষ টাকা পর্যন্ত পার্সোনাল লোন নিতে পারবেন। আর এই লোন নিতে পারবেন সর্বোচ্চ ৮ বছরের জন্য। যেখানে বাংলাদেশের অন্য সব ব্যাংক পার্সোনাল লোন দিচ্ছে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর মেয়াদে, সেখানে সোনালী ব্যাংক থেকে আপনি সর্বোচ্চ 20 লক্ষ টাকা পার্সোনাল লোন নিতে পারবেন আট বছর মেয়াদে।

সোনালী ব্যাংক থেকে এই লোনের জন্য যদি আপনি আবেদন করেন। তবে টাকা হাতে পেতে আপনার সময় লাগবে তিন থেকে চার কর্মদিবস। 

তবে সোনালী ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোন নিতে আপনাকে নতুন কিছু নিয়ম মানতে হবে। যেটা বাংলাদেশের অন্য সব ব্যাংক থেকে কিছুটা ডিফারেন্ট। বিস্তারিত সব কিছুই জানবেন আজকের এই লেখাতে, তাই পুরো লেখাটি মনোযোগ দিয়ে দেখুন। তবে আপনি সহজে সোনালী ব্যাংক পার্সোনাল লোন নিতে পারবেন। 

প্রথমে একটা প্রশ্ন আসতে পারে যে, আপনি সোনালী ব্যাংক থেকে কোন কোন প্রয়োজনে পার্সোনাল লোন নিতে পারবেন? আপনার ব্যক্তিগত যেকোনো প্রয়োজনে আপনি পার্সোনাল লোন নিতে পারবেন। হতে পারে আপনি আপনার ঘরের জন্য কোন আসবাবপত্র ক্রয় করবেন বা একটা ল্যাপটপ ক্রয় করবেন অথবা ব্যক্তিগত যেকোনো প্রয়োজনে আপনি এ পার্সোনাল লোন নিতে পারেন।

সোনালী ব্যাংক পার্সোনাল লোন এর জন্য কারা আবেদন করতে পারবে?



১। সোনালী ব্যাংক পার্সোনাল লোন এর জন্য প্রথমত সেলারি পারসন বা বেতনভুক্ত ব্যক্তিরা আবেদন করতে পারবে?

বেতনভুক্ত ব্যক্তি হতে পারে আপনি কোন সরকারি চাকরি করেন। অথবা আপনি কোন স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান অথবা এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের স্কুলের টিচার হতে পারেন। বা কোন একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন, সেখানে আপনার স্যালারি আপনার ব্যাংক একাউন্টে জমা হয় অথবা সোনালী ব্যাংকের একাউন্টে জমা হয়। আপনি যদি এই ক্যাটাগরির মধ্যে পড়েন তাহলে আপনি সোনালী ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোন এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। 

২। দ্বিতীয় শ্রেণীর যারা আছেন ডক্টর, ইঞ্জিনিয়ার কমপ্লিট করা। তার মানে আপনি যদি প্রফেশনালি কোন কিছু করে থাকেন। সেক্ষেত্রে আপনি সোনালী ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোন এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। 

৩। তৃতীয় শ্রেণি - আপনার যদি কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকে এবং সেটা যদি সোনালী ব্যাংকের লোনের রিকোয়ারমেন্ট এর সাথে ম্যাচ করে। তাহলে আপনি সোনালী ব্যাংক থেকে একজন ব্যবসায়ী হিসেবে পার্সোনাল লোন নিতে পারেন।

সোনালী ব্যাংক লোন কত টাকা দেয়?

সোনালী ব্যাংক লোন কত টাকা দেয়?

  • প্রথমত যদি আপনি সোনালী ব্যাংকে পার্সোনাল জন্য আবেদন করেন তাহলে আপনি সর্বনিম্ন কত টাকা এবং সর্বোচ্চ কত টাকা লোন পাবেন?
  • দ্বিতীয়ত হচ্ছে লোন ইন্টারেস্ট রেট কত হবে? 
  • তৃতীয়ত হচ্ছে এর মেয়াদ আপনি সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ কতদিন পাবেন? 

আপনি যদি সোনালী ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোন এর জন্য আবেদন করেন। তাবে আপনি সর্বনিম্ন এক লক্ষ টাকার জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং সর্বোচ্চ 20 লক্ষ টাকা পর্যন্ত পার্সোনাল লোন নিতে পারবেন। আপনি এক থেকে আট বছরের জন্য সোনালী ব্যাংক লোন নিতে পারবেন। 

তবে এখানে একটা শর্ত হচ্ছে, আপনার চাকরির মেয়াদ কাল অবশ্যই আট বছর থাকতে হবে। তাহলে আপনি সর্বোচ্চ ৮ বছরের জন্য সোনালী ব্যাংক লোন নিতে পারবেন। 

ধরুন আপনি এখন একটা চাকরি করছেন যেটা 5 বছর পর আপনার রিটারমেন্ট হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে আপনি সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জন্য এই প্রার্থনা লুটে নিতে পারবেন। 

সোনালী ব্যাংক পার্সোনাল লোন ইন্টারেস্ট এটা হচ্ছে ৯ শতাংশ আর আপনার লোনের প্রসেসিং ফি হবে ০.৫০% এটা বাংলাদেশ ব্যাংকের গাইডলাইন অনুযায়ী চার্জ করা হবে।

সোনালী ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোন পাওয়ার যোগ্যতা


 এবার আসি আপনি যদি সোনালী ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোন নিতে চান তাহলে আপনার কি কি যোগ্যতা থাকা লাগবে? 

১। সোনালী ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোন নিতে হলে আপনার প্রথম যোগ্যতা হচ্ছে আপনার বয়স মিনিমাম ১৮ বছর হতে হবে। অর্থাৎ আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ড থাকতে হবে। 

২। দ্বিতীয়ত হচ্ছে আপনার জাতীয়তা অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।

৩। তৃতীয়ত হচ্ছে সোনালী ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোন নিতে হলে আপনার মাসিক আয় কত হতে হবে? এটা যদিও কোম্পানির উপর নির্ভর করবে। তবুও আমি আপনাকে বিস্তারিত বলে দিব যে, আপনার কত টাকা সেলারি হলে আপনি সর্বোচ্চ কত টাকা লোন নিতে পারবেন লেখাটি অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। 

সোনালী ব্যাংক থেকে কত টাকা লোন পাবেন? প্রতিমাসে স্কিস্তি কত হবে?


আপনি নিজে কত টাকা লোন পাবেন এবং আপনার প্রতি মাসে কিস্তি কত হবে? 

আপনি সোনালী ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ কত টাকা লোন নিতে পারবেন সেটা নির্ভর করবে আপনার নেট বেতনের উপর অর্থাৎ আপনি প্রতি মাসে যে টাকা নেট স্যালারি পাবেন। আপনি যে সোনালী ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোন নিবেন সেটার প্রতি মাসের কিস্তি বা ইএমআই কোন ভাবে আপনার নির্বাচনের বেশি হবে না। 

অর্থাৎ ধরুন আপনি কোথাও জব করছেন। আপনার সেলারি 20 হাজার টাকা। আপনি প্রতি মাসে সবকিছু কেটে আপনার একাউন্টে পাচ্ছেন 16 হাজার টাকা। তাহলে আপনি সোনালী ব্যাংক থেকে যে লোনটা নিবেন সেটার প্রতি মাসে যে কিস্তিতে হবে সেটা কোন ভাবেই 16000 টাকার বেশি হতে পারবে না। এটার একটা ক্যালকুলেটর আছে যেটা সোনালী ব্যাংক থেকে দেওয়া হয়েছে। 

ধরুন আপনি 1 লক্ষ টাকায় সোনালী ব্যাংক পার্সোনাল লোন নিতে যাচ্ছেন। এক বছরের জন্য তাহলে আপনার নেট স্যালারি হতে হবে 8745 টাকা। অর্থাৎ আপনি যদি 1 লক্ষ টাকা নেন সোনালী ব্যাংক পার্সোনাল লোন তাহলে প্রতি মাসে আপনাকে ইএমআই দিতে হবে 8745 টাকা। এটা যদি আপনার সেলারি হয়, তাহলে আপনি এক বছরের জন্য এক লাখ টাকার আবেদন করতে পারবেন। 

সোনালী ব্যাংক থেকে কত টাকা লোন পাবেন? প্রতিমাসে স্কিস্তি কত হবে?

এবার আসে দুই বছরের জন্য যদি আপনি নিতে চান তাহলে আপনার নেট সালারি অবশ্যই হতে হবে 4568 টাকা। তাহলে আপনি দুই বছরের জন্য এক লক্ষ টাকা নিতে পারবেন। এভাবে তিন বছর 4 বছর 5 বছর 6 বছর সাত বছর ক্যালকুলেশন দেওয়া আছে এখানে. আপনি আপনার সেলারি সাথে ম্যাচ করে আপনার নিজের একটা ক্যালকুলেশন আপনি করতে পারবেন যে আপনি সর্বোচ্চ কত টাকা সোনালী ব্যাংক থেকে নিতে পারবেন কত বছরের জন্য। তাহলে আপনার নিজের আরো বিষয়টা বুঝতে সহজ হবে। 

এ ক্যাল্কুলেশন দেখে নিশ্চয়ই আপনি এখন বুঝতে পারছেন যে আপনি সোনালী ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ কত টাকা পার্সোনাল লোন নিতে পারবেন। 

সোনালী ব্যাংক লোন নিতে কি কি ‍ডকুমেন্ট লাগবে?


এবার আসি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায়। সেটা হচ্ছে আপনাদের সোনালী ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোন নিতে কি কি ডকুমেন্টস লাগবে? সবার জন্য কিছু কমন ডকুমেন্টস বলে দিচ্ছি এখানে।

  1.  আপনাকে লোন এর এপ্লিকেশন ফরম যথাযথভাবে পূরণ করে দিতে হবে। 
  2. দ্বিতীয়ত হচ্ছে যে লোনের জন্য আবেদন করবে তার দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে।
  3. ন্যাশনাল আইডি কার্ডের কপি প্রয়োজন হবে।
  4. সেলারি সার্টিফিকেট অথবা পে স্লিপ দিতে হবে। 
  5. ৪টা অ্যাক্টিভ মোবাইল নাম্বার প্রয়োজন হবে। 
  6. চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট অথবা আপনার মেয়র সার্টিফিকেট লাগবে। 
  7. একজন গ্যারান্টার প্রয়োজন হবে। গ্যারান্টার 2 কপি ছবি লাগবে।
  8. গ্যারান্টার এনআইডি কার্ডের কপি সেলারি সার্টিফিকেট অথবা পে স্লিপ টা লাগবে। এবং 
  9. গ্যারান্টার একটা অ্যাক্টিভ মোবাইল নাম্বার প্রয়োজন হবে। 
এর পাশাপাশি ব্যাংক যদি মনে করে যে গ্যারান্টার আরো এডিশনাল কিছু ডকুমেন্টস দিতে হবে তাহলে অবশ্যই আপনার অ্যাপ্লিকেশনের সাথে সে ডকুমেন্টগুলো আপনাকে জমা দিতে হবে। ব্যাংক থেকে আপনাকে আরো বিস্তারিত বলে দেওয়া হবে যে এর বাইরে অ্যাডিশনালি আরো কি কি ডকুমেন্টস আপনার জমা দিতে হবে। 
 
সুতরাং আপনি যদি সোনালী ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোন নিতে চান। তাহলে আপনার পার্শ্ববর্তী যে সোনালী ব্যাংকের ব্রাঞ্চ আছে। আপনি সে ব্রাঞ্চে গিয়ে সোনালী ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ 20 লক্ষ টাকা লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। 

লেখাটির কোন অংশে যদি বুঝতে না পারেন তাহলে অবশ্যই আমাকে কমেন্ট সেকশনে জানাবেন। আমি চেষ্টা করব সেটার উত্তর দেওয়ার জন্য। লেখাটি যদি ভালো লাগে অবশ্যই আপনার আশেপাশের লোকজনের সাথে লেখাটা শেয়ার করবেন। শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Post a Comment

Previous Post Next Post