ট্রান্সডিউসার কত প্রকার? বিভিন্ন প্রকার ট্রান্সডিউসার।

 

ট্রান্সডিউসার কত প্রকার

আজকের লেখাতে আমরা বিভিন্ন প্রকার ট্রান্সডিউসার নিয়ে আলোচনা করব। অর্থাৎ ট্রান্সডিউসার কত প্রকার? বিভিন্ন প্রকার ট্রান্সডিউসার ও ট্রান্সডিউসার এর শ্রেণিবিভাগ নিয়ে আলোচনা করব।

(ক) ট্রান্সডিউসারকে মূলত তিনভাগে ভাগ করা যায়, যথা-

১। মেকানিক্যাল ট্রান্সডিউসার (Mechanical transducer),

২। ইলেকট্রিক্যাল ট্রান্সডিউসার (Electrical transducer),

৩। ইলেকট্রোমেকানিক্যাল ট্রান্সডিউসার (Electromechanical transducer) |

খ) প্রয়োজনীয় পাওয়ার উৎপাদনের ভিত্তিতে ইলেকট্রিক্যাল ট্রান্সডিউসারকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়, যথা-

১। অ্যাকটিভ ট্রান্সডিউসার (Active transducer),

২। প্যাসিড ট্রান্সডিউসার (Passive transducer)

(গ) আউটপুট সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রান্সডিউসারকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়, যথা-

১। অ্যানালগ ট্রান্সডিউসার (Analog transducer),

২। ডিজিটাল ট্রান্সডিউসার (Digital transducer)। 

(ঘ) কার্যভেদে (Operation) ট্রান্সডিউসারকে দু'ভাগে ভাগ করা যায়, যথা-

১। প্রাইমারি ট্রান্সডিউসার (Primary transducer),

২। সেকেন্ডারি ট্রান্সডিউসার (Secondary transducer)।

(ঙ) ইলেকট্রিক্যাল বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে ট্রান্সডিউসারকে চার ভাগে ভাগ করা যায়, যথা-

১। রেজিস্টিভ ট্রান্সডিউসার (Resistive transducer).

২। ক্যাপাসিটিভ ট্রান্সডিউসার (Capacitive transducer),

৩। ইন্ডাক্টিভ ট্রান্সডিউসার (Inductive transducer),

৪। ইলেকট্রনিক ট্রান্সডিউসার (Electronic transducer)

এখানে কয়েকটি প্রয়োজনীয় ট্রান্সডিউসারের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেয়া হলোঃ

প্রাইমারি ট্রান্সডিউসার (Primary transducer)  কাকে বলে?

যে-সকল Transducer কোনো Physical quantity-কে ইলেকট্রিক্যাল Quantity-তে রূপান্তর করতে পারে না তবে অন্য কোনো ট্রান্সডিউসারকে উক্ত কার্যে সহায়তা করে, তাকে প্রাইমারি ট্রান্সডিউসার বলে । মূলত এটি একটি Detector-এর ন্যায় কাজ করে।

সেকেন্ডারি ট্রান্সডিউসার (Secondary transducer) কাকে বলে?

প্রাইমারি ট্রান্সডিউসারের Output সিগন্যালকে যে Transducer-এর মাধ্যমে বৈদ্যুতিক সিগন্যালে রূপান্তর করা হয়, তাকে Secondary transducer বলে।

অ্যাকটিভ ট্রান্সডিউসার (Active transducer) কাকে বলে?

যে Transducer-এর মাধ্যমে কোনো Physical quantity-কে Electrical quantity-তে রূপান্তর করতে বাহ্যিক পাওয়ার সোর্সের প্রয়োজন হয় না, তাকে অ্যাকটিভ ট্রান্সডিউসার (Active transducer) বলে। যেমন- Photocell, thermocouple. 

প্যাসিভ ট্রান্সডিউসার (Passive transducer) কাকে বলে?

যে Transducer-এর মাধ্যমে কোনো Physical quantity-কে ইলেকট্রিক্যাল quantity-তে রূপান্তর করতে আলাদা বাহ্যিক পাওয়ার সোর্সের প্রয়োজন হয়। তাকে প্যাসিভ ট্রান্সডিউসার (Passive transducer) বলে।

ইলেকট্রিক্যাল ট্রান্সডিউসার (Electrical transducer) কাকে বলে?

যে-সকল Transducer, Physical quantity-কে Electrical quantity-তে রূপান্তর করে। তাকে ইলেকট্রিক্যাল ট্রান্সডিউসার (Electrical transducer) বলে।

মেকানিক্যাল ট্রান্সডিউসার (Mechanical transducer) কাকে বলে?

যে-সব Transducer, Physical quantity-কে মেকানিক্যাল -quantity-তে পরিণত করে। তাকে মেকানিক্যাল ট্রান্সডিউসার (Mechanical transducer) বলে।

অ্যানালগ ট্রান্সডিউসার (Analog transducer) কাকে বলে?

যে-সব Transducer-এর রূপান্তরিত আউটপুট অ্যানালগ প্রকৃতির। তাকে অ্যানালগ ট্রান্সডিউসার (Analog transducer) বলে।

ডিজিটাল ট্রান্সডিউসার (Digital transducer) কাকে বলে?

যে-সব Transducer-এর রূপান্তরিত আউটপুট ডিজিটাল প্রকৃতির। তাকে ডিজিটাল ট্রান্সডিউসার (Digital transducer) বলে।

রেজিস্টিভ ট্রান্সডিউসার (Resistive transducer) কাকে বলে?

যে-সব Transducer-এর রেজিস্টিভিটি এটির উপর প্রয়োগকৃত Physical quantity -এর পরিবর্তনের পরিবর্তিত হয়। তাকে রেজিস্টিভ ট্রান্সডিউসার (Rasistive transducer) বলে।

ক্যাপাসিটিভ ট্রান্সডিউসার (Capacitive transducer) কাকে বলে?

যে-সব Transducer-এ প্রয়োগকৃত Physical quantity পরিবর্তনের ফলে ক্যাপাসিট্যান্স এর পরিবর্তন হয়। তাকে ক্যাপাসিটিভ ট্রান্সডিউসার (Capacitive transducer) বলে।

ইন্ডাক্টিভ ট্রান্সডিউসার (Inductive transducer) কাকে বলে?

যে-সব Transducer-এ প্রয়োগকৃত Physical quantity পরিবর্তনের ফলে Inductance এর পরিবর্তন হয়। তাকে ইন্ডাক্টিভ ট্রান্সডিউসার (Inductive transducer)) বলে।

তো আজ এই পর্যন্তই। লেখাটি ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে ‍শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ।

আরও পড়ুন >>>

Post a Comment

Previous Post Next Post