ইলেকট্রিক্যাল ট্রান্সডিউসারের প্যারামিটারসমূহ

 

কোনো বাহ্যিক (External) পাওয়ার সোর্স ছাড়া ইলেকট্রিক্যাল ট্রান্সডিউসারের যে অংশটি মেকানিক্যাল বা ফিজিক্যাল কোয়ান্টিটিকে অন্য আর একটি ফিজিক্যাল কোয়ান্টিটিতে রূপান্তরিত করে, তাকে অ্যাকটিভ এলিমেন্ট বলে এবং যে অংশটি উক্ত রূপান্তরিত ফিজিক্যাল কোয়ান্টিটিকে ইলেকট্রিক্যাল কোয়ান্টিটিতে রূপান্তরিত করে, তাকে প্যাসিভ এলিমেন্ট বলে এবং অ্যাকটিভ এলিমেন্টকে ট্রান্সডিউসারের সেন্সিং বা ডিটেক্টর এলিমেন্ট বলা হয়। 

ইলেকট্রিক্যাল ট্রান্সডিউসার কী?

যে-সকল ট্রান্সডিউসার মেকানিক্যাল বা ভৌতিক পরিমাণকে ইলেকট্রিক্যাল পরিমাণে পরিণত করে, তাকে ইলেকট্রিক্যাল ট্রান্সডিউসার বলে। ইলেকট্রিক্যাল ট্রান্সডিউসারের প্যারামিটারগুলো নিচে আলোচনা করা হলঃ

ইলেকট্রিক্যাল ট্রান্সডিউসারের প্যারামিটার

১। লিনিয়ারিটি (Linearity) : ভৌতিক প্যারামিটার (চাপ, তাপ, কম্পন) এবং প্রাপ্ত রূপান্তরিত বৈদ্যুতিক সিগন্যালের মধ্যে রৈখিক (Linear) সম্পর্ক থাকতে হবে।

২। স্পর্শকাতরতা (Sensitivity) : ভৌতিক প্যারামিটারের (Physical parameter) প্রতি একক পরিবর্তনের ফলে ইলেকট্রিক্যাল আউটপুটকে সেনসিটিভিটি বলে। (যেমন- টেম্পারেচার সেন্সরের ক্ষেত্রে V/ºC) ট্রান্সডিউসারের জন্য উচ্চমানের সেনসিটিভিটি কাম্য ।

৩। গতিময় রেঞ্জ (Dynamic range) : ট্রান্সডিউসারের অপারেটিং রেঞ্জ প্রশস্ত (Wide) হতে হবে, যাতে পরিমাপিত অবস্থায় বিস্তৃত রেঞ্জ ব্যবহার করা যায়।

৪। পুনরাবৃত্তি (Repeatability) : একটি প্রদত্ত ইনপুট পরিমাণকে (ভোল্টেজ, কারেন্ট ফ্রিকুয়েন্সি ইত্যাদি) বার বার পরিমাপ করে একই মান কিংবা একই মানের কাছাকাছি পরিমাপ পাওয়া গেলে তাকে পরিমাপের রিপিটাবিলিটি বৈশিষ্ট্য বলে। নিচের চিত্রে Repeatability দেখানো হলোঃ

৫। ভৌতিক আকার (Physical size) : ট্রান্সডিউসারের ওজন, আয়তন নিম্নমানের হতে হবে, যাতে এটির উপস্থিতি চলমান পরিমাপ পদ্ধতিতে ব্যাঘাত ঘটাতে না পারে।

ইলেকট্রিক্যাল ট্রান্সডিউসারের বৈশিষ্ট্যসমূহঃ

১। অ্যামপ্লিফিকেশন ও অ্যাটিনিউয়েশন সহজ।

২। ভর জড়তা (Mass-inertia) কম।

৩। ঘর্ষণজনিত বিক্রিয়া কম।

৪। আউটপুটকে মডুলেশন, ট্রান্সমিশন সহজ।

৫। দূরবর্তী স্থান থেকে সেন্সরের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

৬। এটির আউটপুট নিয়ন্ত্রণ, ডিসপ্লে, রেকর্ডিং সহজ।

৭। এতে সিগন্যাল কন্ডিশনিং ও প্রসেসিং সহজতর।

Post a Comment

Previous Post Next Post