![]() |
ট্রান্সডিউসার ও সেন্সর |
হ্যালো ইঞ্জিনিয়ারস! আমাদের আজকের শিরোনাম “ট্রান্সডিউসার ও সেন্সর অর্থ কী? কাকে বলে?”-এর লেখাতে আপনাকে স্বাগতম। আজকের লেখাতে আমরা ট্রান্সডিউসার ও সেন্সরের সজ্ঞা দিব এবং দুটি করে উদাহরণ দেব। চলুন শুরু করি।
ট্রান্সডিউসার কাকে বলে?
যে ডিবাইস এক এনার্জিকে অন্য এনার্জিতে রুপান্তর করে, তাকে ট্রান্সডিউসার (Transducer) বল।
ট্রান্সডিউসার (Transducer) ইলেকট্রনিক ইনট্রুমেন্টেশন সিস্টেম মূলত কতকগুলো পরিমাপক, কন্ট্রোল ও রেকর্ডিং ডিভাইসের সমন্বয়ে গঠিত। এসব ডিভাইস ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যালের মাধ্যমে কাজ করে থাকে। কিন্তু অনেক সময় নন- ইলেকট্রিক্যাল বৈশিষ্ট্য পরিমাপ ও রেকর্ডিং-এর দরকার হয়। যেমন- তাপমাত্রা, প্রেসার, সরণ, বল ইত্যাদি পরিমাপের ক্ষেত্রে উক্ত রাশিসমূহকে প্রথমে ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যালে রূপান্তর করতে হয়। আর এর জন্য কতকগুলো সেন্সিং ডিভাইস বা সেন্সর ব্যবহার করা হয়। এসব সেন্সর আধুনিক ইলেকট্রনিক যন্ত্রের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হচ্ছে।
অর্থাৎ, ইনস্ট্রুমেন্টেশন সিস্টেমে শক্তিকে অনবরত এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় রূপান্তর করতে হয়। আর এর জন্য ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় ডিভাইসই হলো ট্রান্সডিউসার।
সুতরাং বলা যায়, ট্রান্সডিউসার এমন এক ধরনের ডিভাইস, যা কোনো শক্তির এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় রূপান্তর করতে পারে। এখন আপনি প্রশ্ন করতে পারেন, তাহলে ইলেকট্রিক্যাল ট্রান্সডিউসার কি? খুবই সাধারণ প্রশ্ন। যে-সব ট্রান্সডিউসারের সাহায্যে যে-কোনো নন-ইলেকট্রিক্যাল শক্তিকে ইলেকট্রিক্যাল এনার্জিতে রূপান্তর করে, তাকে ইলেকট্রিক্যাল ট্রান্সডিউসার বলে।
এসব ইলেকট্রিক্যাল ট্রান্সডিউসার মূলত রেজিস্ট্যান্স, ক্যাপাসিট্যান্স ও ইন্ডাকট্যান্স-এর পরিবর্তনের ভিত্তিতে কাজ করে। আর এ পরিবর্তনের উপর নির্ভর করে কোনোটিকে বলা হয়; রেজিস্টিভ, কোনোটিকে ক্যাপাসিটিভ আর কোনোটিকে ইন্ডাকটিভ ট্রান্সডিউসার।
তা ছাড়া কিছু কিছু ট্রান্সডিউসার আছে, যা নিজেই বৈদ্যুতিক সিগন্যাল উৎপন্ন করে এদেরকে অ্যাকটিভ ট্রান্সডিউসার বলা হয়। মাইক্রোফোন, থার্মিস্ট্র, থার্মোকাপল, ফটোসেল, LVDT, RTD ইত্যাদি হলো ট্রান্সডিউসারের উদাহরণ। বুঝার সুবিধার্থে নিচে কয়েকটি ট্রন্সডিউসারের ছবি দেওয়া হল।
- আরও পড়ুন >> মেগার কি? কত প্রকার? মেগারের গঠন ও কার্যপ্রণালী
![]() |
মাইক্রোফোন |
![]() |
ফটোসেল |
সেন্সর কাকে বলে?
যে এলিমেন্ট কোনো শারীরিক কোয়ান্টিটি -এর আবেশে সাড়া জাগায়, তাকে সেন্সর (Sensor) বল।
অর্থাৎ যে-সকল ডিভাইস এটির পারিপার্শ্বিক ভৌত, রাসায়নিক বা বায়োলজিক্যাল অবস্থা বা অবস্থার পরিবর্তনকে শনাক্ত করতে পারে, তাকে সেন্সর (Sensor) বলে। এ সকল অবস্থাসমূহ সেন্সরের ইনপুটে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সেন্সরকে ট্রান্সডিউসারও (Transducer) বলা হয়। কারণ এ ডিভাইস একপ্রকার এনার্জিকে অন্য প্রকর এনার্জিতে রূপান্তর করে।
কয়েকটি সেন্সরের উদাহরণ- ফটোডায়োড, ফটোট্রানজিস্টর, আল্ট্রাসনিক সেন্সর, টেম্পারেচার সেন্সর ইত্যাদি।
![]() |
আল্ট্রাসনিক সেন্সর |
![]() |
টেম্পারেচার সেন্সর |
সেন্সরের কাজ দুটি, যথা-
১। ফিজিক্যাল কোয়ান্টিটির উপস্থিতি ডিটেক্ট করা ও এর পরিবর্তনের পরিমাণ নির্ণয় করা।
২। ইনপুটের সমানুপাতিক ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যাল উৎপন্ন করা।
আজ আমরা জানলাম, ট্রান্সডিউসার কাকে বলে? এবং এর উদাহরণ, ট্রান্সডিউসার কাকে বলে? এবং তার উদাহরণ। তো আজ এই পর্যন্তই। লেখাটি ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ।